
ওমর ফারুক (সংবাদদাতা)
কক্সবাজারে ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালো সামাজিক সংগঠন তারুণ্যের অভিযাত্রিক পরিবার।
আজ শুক্রবার (২২ আগস্ট)২৫ বিকেলে কক্সবাজার শহরের কবিতা চত্বর ভাসমান এলাকায় সংগঠনটির পক্ষ থেকে ৩০টি অসহায় পরিবারের হাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, আলু ও তেলসহ দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় উপকরণ। সারাদিনের টানা বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া উপেক্ষা করে তরুণরা ভিজে ভিজে অসহায় মানুষের দ্বারে পৌঁছে যান।
এবং খাদ্যসামগ্রী হাতে পেয়ে পরিবারগুলো স্বস্তি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে- অনেকের চোখেমুখে আনন্দের ঝলক ফুটে ওঠে।
এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন তারুণ্যের অভিযাত্রিক পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা হিমেল বড়ুয়া হিমু, প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর যিশু রাম দে, সদস্য চিরন্তন বড়ুয়া, শান্ত রাজ বড়ুয়া বিপ্লব এবং রুপেল বড়ুয়া। এছাড়া সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন সংগঠনের নিবেদিত সদস্য ইমন বড়ুয়া। কর্মসূচিতে আরও যোগ দেন সাংবাদিক ওমর ফারুক (গাজী টিভি) ও আব্দুর রশিদ মানিক (টিটিএন, কক্সবাজার লাইফ) যারা এ উদ্যোগকে মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে অভিহিত করেন।
এতে প্রতিষ্ঠাতা হিমেল বড়ুয়া হিমু বলেন,মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য। সামান্য উদ্যোগ দিয়েই যদি অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানো যায়, সেটাই আমাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর যিশু রাম দে বলেন,
এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য প্রচার নয়; বরং সমাজের তরুণদের মানবিক কাজে সম্পৃক্ত করা। আমরা চাই সবাই মানবতার অভিযাত্রায় শামিল হোক।
অসহায় পরিবারের একজন বৃদ্ধা আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন,বৃষ্টির মধ্যে আমাদের খোঁজ নিতে কেউ আসে না। আজ আপনাদের হাতে খাদ্যসামগ্রী পেয়ে আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞ। আল্লাহ আপনাদের মঙ্গল করুন।
তারুণ্যের অভিযাত্রিক পরিবার একটি অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সংগঠনটি মানবিক সহায়তা, শিক্ষা সহায়তা, পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টি এবং সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছে।
সংগঠনের সদস্যরা জানান, মানবতার সেবায় ছোট ছোট পদক্ষেপই বড় পরিবর্তনের সূচনা করে। ঝড়-বৃষ্টি আমাদের থামাতে পারেনি, ভবিষ্যতেও থামাতে পারবে না। মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই আমাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য।
তারা আরো বলেন,ছবি প্রকাশ প্রসঙ্গে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উদ্দেশ্য সুনাম অর্জন নয়, বরং সমাজের সবাইকে মানবতার কাজে অনুপ্রাণিত করা।
পাঠকের মতামত